"আউয়াল খন্দকার"
শুন্য মরুভূমে শুয়ে আছি, আত্মাহীন শুন্য শরীর
রাক্ষুসে তৃষ্ণার্ত আকাশ চুষে নেয় আমার গলিত হৃদপিণ্ড
প্রাণহীন গাছের শুকনো মগডালে মেশিনগান তাক করে আছে একদল শকুন, দৃষ্টি তাদের প্রখর , অপেক্ষার প্রহর শেষে খামচে খায় আমার দেহ,দেহ থেকে মাংস আলাদা করে
মেতে উঠে উদর পূর্তির মহা উৎসবে
কালকেউটের ফণা বিষ ছড়ায় শহর ময়,
তুমি ছিলে আমার পাশেই
তোমারগর্ভের সন্তান,পৃথিবীর আলো দেখার আগেই
অসিম অন্ধকারে কুণ্ডলী পাকিয়ে আশ্রয় পায় উদ্ধার কর্মীর
হাতের তালুতে,মিসাইলের আঘাতে লন্ডভন্ড তোমার দেহ হাত বাড়াতেই নিস্তেজ হয়ে যায় ভূলন্ঠিত শরীর।
রাফায় বিধ্বস্ত ভবনের ভগ্ন স্তুপে আটকে পড়া তোমার কোলের ছোট্ট শিশুর ক্রন্দন রোল আরশে পৌঁছার আগেই,
ধুয়ার ঘন মেঘ ঢেকে দেয় বিশ্ব মানবতার আকাশ।
প্রিয়তমা আমার, তোমার সন্তানদের রক্তের নহরে
প্রবাহিত ভূমধ্যসাগর, তাবৎ বিশ্বের জল ধারায় মিশে
এক বিশাল রক্ত সমুদ্রে উত্তাল,পিতৃ হারা -মাতৃহারা ক্ষুধার্ত
অবুঝ শিশুর দীর্ঘশ্বাস আর অসহায় বোবা প্রাণীর আত্মচিৎকারে
বিবেকের কাঠ-খড় পুড়িয়ে জাগ্রত আবাবিল-
দ্রোহের পাথর বৃষ্টিতে নমরুদের মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ
বিপ্লবী লাভায় অস্তিত্ব হীন হবার অপেক্ষায় জায়নবাদ,
বিদ্রোহী দাবানলে নিশ্চিহ্ন হবে নৈরাজ্যবাদের মানচিত্র।