শামীমা আক্তার:
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীতে রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ঢল নামে। ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে মন্ত্র পাঠে আনন্দময়ীকে অঞ্জলি দেন ভক্তরা। নবমী তিথিতে পূজা ও সন্ধ্যা আরতি শেষে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিদায় নেবেন দেবী দুর্গা।
নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়। তাই শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে দশভুজা দেবীর পূজা হয়েছে। নীল অপরাজিতা ফুল মহানবমী পূজার বিশেষ অনুষঙ্গ। নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়।
১০৮টি বেলপাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপগুলোতে সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা দেখা যায়, যা বিকেলের দিকে ভিড়ে পরিণত হয়। বাবা-মায়ের সঙ্গে নতুন পোশাকে শিশুদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। আজ সকালে দশমী পূজা করা হবে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পুরোহিত বরুন চক্রবর্তী জানান, বিজয়া দশমীতে ‘বিহিত পূজা’ ও পরে ‘দর্পণ বিসর্জনের’ মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার শাস্ত্রীয় সমাপ্তি ঘটবে। দশমী পূজায় প্রতিমার হাতে জরা, পান, শাপলা ডালা দিয়ে আরাধনা করা হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর জানান, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বৃহস্পতিবার প্রতিমা বিসর্জন হবে। এর আগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে শোভাযাত্রা বের হবে, যা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সদরঘাট গিয়ে শেষ হবে।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ দুর্গোৎসব উপলক্ষে সরকারি ছুটি। গতকালও সাধারণ ছুটি ছিল। সব মিলিয়ে এবার পূজায় সরকারি চাকরিজীবীরা টানা চার দিনের ছুটি পেয়েছেন।