৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এবার ইসলামী সরকার দেখতে চাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই পীর


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ৩:১৩ অপরাহ্ন
৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এবার ইসলামী সরকার দেখতে চাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই পীর

 

শামীমা আক্তার:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতেই হবে। এছাড়া পূর্বের ন্যায় জগাখিচুড়ি নির্বাচন করা যাবে না। এতে আগের মতোই দখলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম হবে। একটি দল বর্তমানে এ দেশকে দখলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। ওই দল বলছে নির্বাচন হলে ৯৫ শতাংশ ভোট তারাই পাবে, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে আসতে এত ভয় কেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় শায়খে চরমোনাই আরো বলেন, পূর্বের ন্যায় নির্বাচন হলে যেই লাউ সেই কদু। তবে ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এবার ইসলামী সরকার দেখতে চাই। আর ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে বাংলাদেশে আর ধনী গরিবের ব্যবধান থাকবে না। এদেশে কোন অসহায় বা গরিব মানুষ আর থাকবে না। কেউ না খেয়ে ও বিনা চিকিৎসায় কষ্ট করবে না। অভাব না থাকলে দেশে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই ছেড়ে দেবে অপরাধীরা। তখন এ দেশবাসী নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। এ লক্ষ্যে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এর আগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র জনতার খুনিদের দৃশ্যমান বিচার হতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এম এইচ মোস্তফা’র সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মোঃ মাহবুবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, ডিএসসিসির ৬৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইব্রাহিম খলিল, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মাদ সালাহউদ্দীন, মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, এমদাদুল ফেরদৌস ও ইসমাইল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের হাজারো নেতৃবৃন্দ।