শাহিন ফকির :
ভাঙ্গাচুড়া জর্জরিত সরু সুপারি গাছের তৈরী সেতু দিয়ে যুগের পর যুগ পারাপার হচ্চে দুই পারের হাজার হাজার মানুষ, দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলে ও পুরোন হয়নি দুই পারের মানুষের স্বপ্ন। বহু প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প। খালের দুই পারের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, অথচ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
পিরোজপুর সদর পিরোজপুর বেলতলা কবি আহসান হাবিব স্মৃতি ফলকের উত্তর পাশে জামে মসজিদের সামনে উমেদপুর খালের উপরের সেতুটি বর্তমানে খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, খালের দুই পারের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, অথচ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এই সেতু দিয়ে নিয়মিত স্কুল কলেজ মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ মসজিদের মুসল্লীগণের আসা-যাওয়া এবং তিনটি গ্রামের সাধারণ জনগণ ও কৃষক আসা-যাওয়া করে, এছাড়াও কৃষকদের ধান সহ বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্য নিয়ে আসা-যাওয়া করতে খুবই সমস্যা হয়, যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়,
স্থানিয় বাসিন্দা মো : জহিরুল খান বলেন – এই সেতুটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে তিন গ্রামের মানুষ আসা-যাওয়া করে,অসুস্থ রোগীদেরকে নিয়ে হাসপাতালে যাইতে খুবই কষ্ট হয়, ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল,মাদরাসায় যাইতে পারেনা সেতু টি ঝুঁকিপূর্ণ থাকার কারণে, বয়স্ক মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে পারে না, তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি আমাদের তিন গ্রামের সংযোগ স্থল এই সেতুটি যাতে পূর্ণ নির্মাণ করে দেন,
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন – এই সেতুটি না থাকার কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে খুব সমস্যায় পরতে হয়, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারে না,মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় যেতে পারে না, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায় না, গর্ভবতী মাদের কে নিতে খুবই কষ্ট হয় তাই কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি তারা জনগণের স্বার্থে এলাকাবাসীর স্বার্থে যেন এই সেতুটি পূর্ণভাবে নির্মাণ করে দেয়,
আমরা চাই অতি দ্রুত আমাদের এলাকায় এই সেতুটি নির্মাণ করা হোক। আমরা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে তাদের জন্য দোয়া করবো।
আপনার মতামত লিখুন :