নাজিরপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের নাজিরপুরে দেশি প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের বকনা বাছুর বিতরণে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী ৭০ কেজি ওজনের বাছুর দেওয়ার কথা থাকলেও উপকারভোগীদের দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ কেজি ওজনের বাছুর।
প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এ ধরণের অনিয়ম ভবিষ্যতের উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে জানান সচেতন মহল।
বুধবার উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ে মৎস্যজীবিদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে এ অনিয়ম দেখা যায়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, সরকার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রকল্প দিচ্ছে, অথচ সেখানে অনিয়ম হচ্ছে। এটা মানা হবে না। জনগণের টাকায় কেনা গরু জনগণকেই সঠিকভাবে দিতে হবে।
প্রকল্পের উপকারভোগী তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, গরুর ওজন হওয়ার কথা ৭০ কেজি, কিন্তু যে গরু পেয়েছি তার ওজন ৪০ কেজিও হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক উপকারভোগী গরু নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বলা হয়, না নিলে গরু আর পাবেন না।
এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাগো বাজেট দিয়া যদি কম ওজনের গরু দেয়, তাও ঠিক আছে, কিন্তু ফিতা দিয়ে গরুর ওজন মেপে দিতে হবে কেন? এটাতো গরু, এইটাতো গাছ না!’
এদিকে কম ওজনের বাছুর দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন উপকারভোগীদের বলেন, যদি গরু নিতে না চান তাহলে আমরা এই প্রকল্পটা বাতিল করে দিবো।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফজলে রাব্বি বলেন, গরুর বাছুর যে ওজনের দেওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে কম ওজনের বাছুর দেওয়ার বিষয়ে অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।